লম্বা প্রতীক্ষার পর অবশেষে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান বাবর আজম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন। এক নয়, দুই নয়, তিন নয়—১০, ২০, ৩০ নয়, ৮৩টি ইনিংসের পর তিনি এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন। ঠিক যেন বিরাট কোহলির মতো, যে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ খরা কাটিয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

বাবরের সর্বশেষ সেঞ্চুরি ছিল নেপালের বিপক্ষে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে, যেখানে তিনি ১৫১ রান করেছিলেন। এরপর ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট থেকে সেঞ্চুরিহীন ছিলেন তিনি। আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তান ৮ উইকেটে জিতে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেছে।

বাবরের সেঞ্চুরিটি এসেছে ইনিংসের ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে। প্রমোদ মাধুশানের করা একটি বল মিডউইকেটের দিকে ঠেলে তিনি সিঙ্গেল নিয়ে রেকর্ড পূর্ণ করেন। মাঠে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান তাঁকে আলিঙ্গন করে অভিনন্দন জানান। গ্যালারি ও পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।

সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলার পর শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। তবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের অনুরোধে সফর চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয় ওয়ানডে এক দিন পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ রান আসে জানিত লিয়ানাগের ৫৪ (৬৩ বলে, ২ চার ও ১ ছয়ে) থেকে। কামিন্দু মেন্ডিস ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ ৩টি করে উইকেট নেন।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরু ভালো হয় ফখর জামান ও সাইম আইয়ুবের জুটিতে। ৯.৪ ওভারে তারা ৭৭ রান তোলেন। আইয়ুব ৩৩ রানে আউট হলে জুটি ভেঙে যায়। ফখর জামান ৯৩ বলে ৭৮ রান করে আউট হন। এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে বাবর ও রিজওয়ান দলকে জয় পর্যন্ত পৌঁছে দেন। বাবর অপরাজিত ১০২ রান করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। রিজওয়ান অপরাজিত ৫১ রান করেন।

এই সেঞ্চুরিতে বাবর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি রেকর্ডে সাবেক ওপেনার সাঈদ আনোয়ারকে সমান করেছেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাবরের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি সংখ্যা ৩২টি, যা পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ রেকর্ডে আছেন ইউনিস খান (৪১), মোহাম্মদ ইউসুফ (৩৯) ও ইনজামাম-উল-হক (৩৫)।